নেটওয়ার্ক টপোলজি

testwiki থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন

নেটওয়ার্ক টপোলজি হলো যোগাযোগ নেটওয়ার্কের উপাদান (লিঙ্ক, নোডস, ইত্যাদি) সুবিন্যস্তকরণ।[][] নেটওয়ার্ক টপোলজি বিভিন্ন প্রকার টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কসমূহকে বিন্যস্ত করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন, কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল রেডিও নেটওয়ার্ক,[] বাণিজ্যিক ফিল্ডবাসেস এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক

নেটওয়ার্ক টপোলজি নেটওয়ার্কের বিন্যস্তকৃত[] গঠন এবং হয়তবা, বাহ্যিকভাবে অথবা যুক্তিগতভাবে চিত্রিত। এটি গ্রাফ তত্ত্বের ব্যবহারিক উদাহরণ।[]

নেটওয়ার্ক টপোলজির প্রকারভেদ

কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর জন্য মূলত ছয় ধরনের টপোলজি ব্যবহৃত হয়।[] যথাঃ

  1. বাস টপোলজি (Bus Topology)
  2. রিং টপোলজি (Ring Topology)
  3. স্টার টপোলজি (Star Topology)
  4. ট্রি টপোলজি (Tree Topology)
  5. মেশ টপোলজি (Mesh Topology)
  6. হাইব্রিড টপোলজি (Hybird Topology)

বাস টপোলজি

টেমপ্লেট:মূল নিবন্ধ যে টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবকটি ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিউটারে সংযুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি বলা হয়। টপোলজির প্রধান ক্যাবলটিকে বলা হয় ব্যাকবোন (Backbone) বা ট্রাঙ্ক (Trunk)। সিগন্যাল যখন ব্যাকবোন এ চলাফেরা করে তখন শুধু প্রাপক কম্পিউটার সিগন্যাল গ্রহণ করে, বাকিরা একে অগ্রাহ্য করে।

বাস টপোলজি

এ টপোলজি ছোট আকারের নেটওয়ার্কে ব্যবহার খুব সহজ, সাশ্রয়ী ও বিশ্বস্ত। এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায় না। বাস টপোলজিতে একই নেটওয়ার্ক এ ভিন্ন ক্যাবল ব্যবহৃত হতে পারে। এখানে মনে রাখতে হবে মূল ব্যাকবোন নষ্ট হলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অকেজো হয়ে যাবে।

রিং টপোলজি

টেমপ্লেট:মূল নিবন্ধ

রিং টপোলজি

রিং টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার তার পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এভাবে রিংযের সর্বশেষ কম্পিউটারটি প্রথম কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এ ব্যবস্থায় কোনো কম্পিউটার ডেটা পাঠালে তা বৃত্তকার পথে ঘুরতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রাপক কম্পিউটার ডেটাটি গ্রহণ করে। এ ব্যবস্থায় কোনো কেন্দ্রীয় কম্পিউটার থাকে না। এতে প্রতিটি কম্পিউটারের গুরুত্ব সমান।

স্টার টপোলজি

টেমপ্লেট:মূল নিবন্ধ

স্টার টপোলজি

যে টপোলজিতে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে তাকে স্টার টপোলজি বলা হয়। এক্ষেত্রে একটি কম্পিউটার কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করে থাকে। এ টপোলজিতে কোনো একটি কম্পিউটার নষ্ট বা বিকল হলে নেটওয়ার্ক এর উপর কোনো প্রভাব পরে না। খুব সহজেই সমস্যায় আক্রান্ত কম্পিউটারটি সরিয়ে নেওয়া যায়। স্টার টপোলজি একটি বহুল ব্যবহৃত টপোলজি এবং এই টপোলজিতে একই নেটওয়ার্ক এ বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহৃত হতে পারে। খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি কোনো নেটওয়ার্ক তৈরি করতে এ টপোলজি বেশ কার্যকর।

ট্রি টপোলজি

টেমপ্লেট:মূল নিবন্ধ

Tree topology
ট্রি টপোলজি

ট্রি টপোলজি (Tree Topology): যে টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে গাছের শাখা-প্রশাখার মতো বিন্যস্ত থাকে তাকে ট্রি টপোলজি বলে।

এ টপোলজিতে এক বা একাধিক স্তরের কম্পিউটার হোস্ট কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ প্রথম স্তরের কম্পিউটারগুলো দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়। একইভাবে দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়। অফিস ব্যবস্থাপনার কাজে এ নেটওয়ার্ক টপোলজি খুবই উপযোগী। শাখা-প্রশাখা সৃষ্টির মাধ্যমে ট্রি টপোলজির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা সহজ। এ টপোলজি অনেক গুলো স্টার টপোলজি মিলে গঠিত।

N=dG+11d1,Np=dG

হাইব্রিড টপোলজি

টেমপ্লেট:মূল নিবন্ধ

হাইব্রিড টপোলজি.png
হাইব্রিড টপোলজি.

হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology): বাস, স্টার, রিং ইত্যাদি টপোলজির সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক টপোলজিকে বলা হয় হাইব্রিড টপোলজি।

উদাহরণস্বরূপ ইন্টারনেটকে এ ধরনের টপোলজি হিসেবে অভিহিত করা যায়। কেননা ইন্টারনেট হলো বৃহৎ পরিসরের একটি নেটওয়ার্ক যেখানে সব ধরনের টপোলজির মিশ্রণ দেখা যায়। এ টপোলজিতে প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব হয়। কোনো একটি অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক নষ্ট না হয়ে অংশবিশেষ নষ্ট হয়।

মেশ টপোলজি

টেমপ্লেট:মূল নিবন্ধ

মেশ টপোলজি

মেশ টপোলজি (Mesh Topology): যদি কোনো নেটওয়ার্কে ডিভাইস বা কম্পিউটারগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত সংযোগ থাকে তাহলে তাকে বলা হয় মেশ টপোলজি।

অধিকাংশ মেশ টপোলজি নেটওয়ার্ক সত্যিকারের মেশ নেটওয়ার্ক নয়। এগুলো হলো আসলে হাইব্রিড মেশ নেটওয়ার্ক। এতে শুধু অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় লিঙ্ক থাকে। এতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিশ্চয়তা থাকে এবং নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায়।

মেশ টপোলজিতে কম্পিউটারের সংখ্যা নির্ণয়ের সূত্র হলোঃ c=n(n1)2. এখানে, n হলো কম্পিউটার বা নোডের সংখ্যা।

মেশ টপোলজিতে যেহেতু প্রতিটি কম্পিউটার প্রতিটির সাথে সংযুক্ত থাকে তাই এ অর্থে এই নেটওয়ার্কের প্রথম কম্পিউটারটি শেষ কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। রিং টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটারকে প্রতিটির সাথে অতিরিক্ত নোড দিয়ে সংযুক্ত করলেই তা মেশ টপোলজিতে রূপান্তরিত হবে। ডেটা যোগাযোগের নির্ভরশীল হলো মেশ টপোলজি।

তথ্যসূত্র

টেমপ্লেট:সূত্র তালিকা