অ্যামোনিয়াম সালফেট
অ্যামোনিয়াম সালফেট হল একটি নাইট্রোজেন ঘটিত অজৈব রাসায়নিক সার | অ্যামোনিয়াম সালফেট এর সংকেত হলো |২০১৪ সালে অ্যামোনিয়া বৈশ্বিক শিল্প উৎপাদন ছিল টেমপ্লেট:রূপান্তর,[১] যা ২০০৬ সালের বৈশ্বিক শিল্প উৎপাদন টেমপ্লেট:রূপান্তর থেকে ১৬% বেশি।[২]
প্রাকৃতিক উৎস
বায়ুমন্ডলে খুবই সামান্য পরিমাণে অ্যামোনিয়া পাওয়া যা যায় যা নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ প্রাণী ও উদ্ভিদ ক্ষয় থেকে উৎপন্ন হয়। বৃষ্টির জলে অল্প পরিমাণে অ্যামোনিয়া এবং অ্যামোনিয়াম লবণের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আগ্নেয়গিরি অঞ্চলে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও অ্যামোনিয়াম সালফেট পাওয়া যায়। প্রাণীদেহের অতিরিক্ত এসিড প্রশমিত করতে যকৃত থেকে NH3 নি:সৃত হয়।[৩] উর্বল জমি এবং সাগরের পানিতে অ্যামোনিয়াম লবণ পাওয়া যায়। সৌর মন্ডলের প্লুটো, মঙ্গল , বৃহস্পতি , শনি ,ইউরেনাস ও নেপচুন গ্রহে অ্যামোনিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে। যেসকল বস্তু অ্যামোনিয়া ধারণ করে তাদেরকে অ্যামোনিয়াক্যাল বলা হয়।
প্রস্ততি
জলে বিচূর্ণ খনিজ ক্যালসিয়াম সালফেট বা জিপসাম রেখে তার মধ্যে বেশি চাপে অ্যামোনিয়া এবং প্রবাহিত করলে দ্রাব্য অ্যামোনিয়াম সালফেট অদ্রাব্য ক্যালসিয়াম কার্বনেট উৎপন্ন হয় | অ্যামোনিয়াম সালফেট দ্রবনকে বাস্পায়িত করে ঠান্ডা করলে এর কেলাস পাওয়া যায় ,[৪][৫][৬]
যথা : - .
প্রকৃতি
[i] অ্যামোনিয়াম সালফেট বর্ণহীন, কেলাসিত, লবণ জাতীয়, অজৈব কঠিন পদার্থ |
[ii] এটি জলে দ্রাব্য এবং এর জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করতে পারে |জলীয় দ্রবণে অ্যামোনিয়া সালফেট এবং আয়নের বিয়োজিত হয় ,যথা : .
[iii] অ্যামোনিয়াম সালফেট জলীয় দ্রবণে অ্যাসিডিক ধর্ম প্রকাশ পায় |
[iv]অ্যামোনিয়াম সালফেট একটি নরমাল সল্ট বা সীমিত লবণ , যা তীব্র ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়া অ্যামোনিয়া উৎপন্ন করে |যথা
[v]অ্যামোনিয়াম সালফেটকে উচ্চ তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে অ্যামোনিয়া গ্যাস নির্গত হয় এবং অ্যামোনিয়াম বাই সালফেট পাওয়া যায় | .
ব্যবহার
[i] অ্যামোনিয়াম সালফেট প্রধানত নাইট্রোজেন ঘটিত রাসায়নিক সার ও অজৈব সার হিসাবে কৃষিকার্যে ব্যবহৃত হয় |
[ii] অ্যামোনিয়াম সালফেট পরীক্ষাগারে বিকারক রূপে ব্যবহৃত হয় ।
[iii] ফিটকিরি এবং অ্যামোনিয়াম ঘটিত বিভিন্ন লবণ প্রস্ততিতে অ্যামোনিয়াম সালফেট ব্যবহৃত হয় ।
সমস্যা
- জমিতে বারে বারে অ্যামোনিয়াম সালফেটকে সার হিসাবে ব্যবহার করলে মাটির অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে, কারণ জলীয় দ্রবণে আর্দ্র বিশ্লেষিত হয়ে প্রথমে অ্যামোনিয়াম আয়ন এবং সালফেট আয়ন উৎপন্ন করে । মাটিতে পড়ে বিভিন্ন জৈবিক ক্রিয়ার ফলে অ্যামোনিয়াম আয়ন থেকে নাইট্রেট আয়ন উৎপন্ন হয় যথা, | নাইট্রেট আয়ন এবং সালফেট আয়ন যথাক্রমে এবং উৎপন্ন করে| তাই এই সার গাছে বেশি দিলে মাটিতে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকে, ফলে গাছ নষ্ট হয়ে যায় ও ফসল উত্পাদনের ক্ষমতা কমে যায় । সেজন্য সারটিকে চুনের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত ।
- অ্যামোনিয়া গ্যাস নির্গত হলে সর্বাগ্রে আমাদের চোখে মুখে জলের ঝাপটা নেওয়া দরকার কারণ অ্যামোনিয়া ক্ষার জাতীয় পদার্থ, তাই অ্যামোনিয়ার ক্রিয়াকে প্রশমিত করতে অ্যাসিড ব্যবহার করলে, অ্যাসিডের ক্রিয়ায় ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে । তাই অ্যামোনিয়াকে সাধারণ ক্ষেত্রে প্রশমিত করতে কখনোই অ্যাসিডের ঝাপটা দেওয়া উচিত নয় । অন্য দিকে অ্যামোনিয়া জলে অতিশয় দ্রাব্য । তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত অ্যামোনিয়া যাতে চোখ মুখের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য চোখে মুখে জলের ঝাপটা দেওয়া উচিত । জলে অ্যামোনিয়া দ্রবীভূত হয়ে যায় বলে ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব হয় ।
তথ্যসূত্র
- ↑ টেমপ্লেট:ওয়েব উদ্ধৃতি
- ↑ টেমপ্লেট:ওয়েব উদ্ধৃতিটেমপ্লেট:অকার্যকর সংযোগ
- ↑ টেমপ্লেট:সাময়িকী উদ্ধৃতি
- ↑ টেমপ্লেট:ওয়েব উদ্ধৃতি
- ↑ টেমপ্লেট:ওয়েব উদ্ধৃতি
- ↑ টেমপ্লেট:সংবাদ উদ্ধৃতি
- ↑ Karl-Heinz Zapp "Ammonium Compounds" in Ullmann's Encyclopedia of Industrial Chemistry, 2012, Wiley-VCH, Weinheim. টেমপ্লেট:DOI
- ↑ টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি