ইলেকট্রিক্যাল রেজোনেন্স
একটি বিশেষ রেজোনেন্স ফ্রিকোয়েন্সিতে ইলেক্ট্রিক্যাল বর্তনীতে যখন ইম্পিড্যান্স অথবা এডমিট্যান্স পরস্পরকে বিলুপ্ত করে ফেলে তখন ইলেক্ট্রিক্যাল রেজোনেন্স সংগঠিত হয়। কোন কোন সময় বর্তনীতে ইনপুট আউটপুটের ইম্পিড্যান্স শূন্যের কাছাকাছি এবং ট্রান্সফার ফাংশন এক এর কাছাকাছি হলেও রেজোনেন্স হতে সংগঠিত হয়।[১]
রেজোন্যান্ট সার্কিট ইনপুট ভোল্টেজ এবং কারেন্টের চাইতে উচ্চ মানের ভোল্টেজ এবং কারেন্ট তৈরি করতে পারে। তারবিহীন ব্যবস্থায় পরিবহন এবং গ্রহণ প্রান্তে ব্যপকহারে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এলসি সার্কিট
ইন্ডাক্টর এবং ক্যাপাসিটর জনিত কারণে রেজোনেন্স অবস্থা তৈরি হয়। হঠাৎ কমে যাওয়া ম্যাগনেটিক ফিল্ড ইন্ডাক্টরের ওয়াইন্ডিং এ কারেন্ট প্রবাহ সৃষ্টি করে, এই কারেন্ট ক্যাপাসিটরকে চার্জ করে, আবার ক্যাপাসিটরের ডিসচার্জিং কারেন্ট ইন্ডাক্টরে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে।
আর এই প্রক্রিয়া পুনঃপুন চলতে থাকে। এটি একটি যান্ত্রিক দোলকের মত আচরণ করে এবং এটি হরমোনিক অসিলেটরের একটি প্রকার।
রেজোনেন্স অবস্থায় দুটি উপাদানের সিরিজ ইম্পিড্যান্স সর্বনিম্ন থাকে এবং প্যারালাল ইম্পিড্যান্স সর্বোচ্চ থাকে।
ক্যাপাসিট্যান্স এবং ইন্ডাক্ট্যান্সের নির্দিষ্ট মানে বিশেষ ফ্রিকোয়েন্সিতে রেজোনেন্স অবস্থা সৃষ্টি হয় বলে একে ফিল্টারিং এবং টিউনিং এর কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে অপ্রত্যাশিত নয়েজ তৈরি করে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
প্যারালাল রেজোনেন্স বা রোজেনেন্সের কাছাকাছি অবস্থা তড়িৎ শক্তির অপচয় রোধে ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন এসিনক্রোনাস মোটরে ইন্ডাক্টিভ কারেন্ট অপচয় হয় আবার সিনক্রোনাস মোটরে ক্যাপাসিটিভ কারেন্ট অপচয় হয়। দুই ধরনের প্যারালাল অবস্থা ব্যবহার করে ইন্ডাক্টরকে ক্যাপাসিটরে ফিড করাতে এবং বিপরীতক্রমে সার্কিটে রেজোনেন্ট কারেন্ট বজায় রেখে দুই ধরনের অপচয়কেই কাজে লাগানো যায়।
যেহেতু ইনডাকটিভ রিঅ্যাক্ট্যান্স এবং ক্যাপাসিটিভ রিয়াকাট্যান্স বিস্তারের সমান
- ,
সুতরাং
- ,
যেখানে ,
টেমপ্লেট:Mvar হল hz প্রকাশ করা ফ্রিকোয়েন্সি
টেমপ্লেট:Mvar হল হেনরিতে প্রকাশ করা ইন্ডাক্ট্যান্স এবং টেমপ্লেট:Mvar হল ফ্যারাডে প্রকাশ করা ক্যাপ্যাসিট্যান্স। এসআই ইউনিট ব্যবহার করে।
রেজোনেন্সের গুনগত মান টেমপ্লেট:Mvar দ্বারা নির্ধারিত হয়, যা রেজিট্যান্সের একটি ফাংশন : । একটি আদর্শ, লসলেস সার্কিটের টেমপ্লেট:Mvar অসীম, তবে বাস্তবে সকল সার্কিটে অল্প কিছু রেজিট্যান্সের কারণে টেমপ্লেট:Mvar সসীম। আর এল সি সার্কিটের ধারণা থেকে বিষয়টা ভালভাবে বুঝা যায়।
আরএলসি সার্কিট

RLC মূলত রেজিস্টর, ইন্ডাক্টর এবং ক্যাপাসিটর নিয়ে সিরিজ বা প্যারালালে গঠিত সার্কিট। রেজিট্যান্স, ইন্ডাক্ট্যান্স এবং ক্যাপাসিট্যান্স এর নামের প্রতীক থেকে এই RLC নামকরণ করা হয়েছে। RLC সার্কিট LC সার্কিটের মতই হরমোনিক অসিলেটের একটা প্রকার। রেজিস্টরের উপস্থিতি সময়ের সাথে অসিলেশন প্রশমিত করে। রেজিস্টরের এই প্রভাবকে ড্যাম্পিং বলা হয়। রেজিট্যান্সের উপস্থিতিতে প্রশমিত অসিলেশনের রেজোন্যান্ট ফ্রিকোয়েন্সিও কমে যায় যদিও অসিলেশন শুরু করার ফ্রিয়োয়েন্সি LC সার্কিটের মতই থেকে যায়। । বাস্তবে সার্কিটে কোন রেজিট্যান্স সংযুক্ত না থাকলেও কিছু না কিছু রেজিট্যান্স থেকেই যায় অনিবার্যভাবে। কাজেই খাঁটি LC সার্কিট কেবল তত্বতেই সীমাবদ্ধ।