গ্লুয়ন
গ্লুয়ন হলো এক ধরনের মৌলিক কণা যা কোয়ার্কের মধ্যে সবল মিথস্ক্রিয়ার জন্য পরিবতনশীল কণার (বা গেজ বোসন) মত ক্রিয়া করে। ইহা দুটি আহিত কণার মাঝে তড়িৎ-চৌম্বক বলের ফোটন বিনিময়ের অনুরূপ।[১] সাধারণ ভাষায়, এরা আঠার মত করে কোয়ার্কগুলিকে একত্রিত রেখে হ্যাড্রন যেমন প্রোটন বা নিউট্রন তৈরী করে।
| ধরন | ৮ |
| গঠন | মৌলিক কণা |
| পরিসংখ্যান | বোসনিক |
| মিথষ্ক্রিয়া | সবল মিথষ্ক্রিয়া |
| তত্ত্ব | মারি গেল-মান (১৯৬২)[২] |
| আবিষ্কার | e+e− → Υ(9.46) → 3g: ১৯৭৮ সালে ডরিস ৩-এ প্লুটো অনুসন্ধানের মাধ্যমে[৩] এবং e+e− → qটেমপ্লেট:Overlineg: ১৯৭৯ সালে পেট্রা-তে ট্যাসো, মার্ক-জে এবং প্লুটো অনুসন্ধানের মাধ্যমে।[৪] |
| প্রতীক | g |
| ভর | 0 (তাত্ত্বিক মান) টেমপ্লেট:Nowrap[৫][৬] |
| বৈদ্যুতিক আধান | 0 e[৬] |
| রং আধান | অষ্টক (৮ প্রকার রৈখিক স্বাধীন) |
| আবর্তন | ১ |
পরিভাষিক শব্দে, কোয়ান্টাম ক্রোমোডাইনামিক্সে (কিউসিডি) যেই ভেক্টর গেজ বোসনগুলি কোয়ার্কের সবল মিথস্ক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করে তারাই গ্লুয়ন। গ্লুয়নই সবল মিথস্ক্রিয়ার রং আধান বহন করে। এরা ফোটনের মত নয় যা তড়িৎ-চৌম্বক বলের আধানহীন বাহক। গ্লুয়ন সবল মিথস্ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা ছাড়াও এর মধ্যস্থতা করে যা কিউসিডি-কে বোঝার ক্ষেত্রে কিউইডি-এর তুলনায় কঠিন করে তোলে।
বৈশিষ্ট্য
প্রোটনের মতই গ্লুয়নও ভেক্টর বোসন কেননা এদের উভয়েরই স্পিন ১। যেখানে বৃহৎ স্পিন-১ সম্পন্ন কণাগুলির ৩ টি সমবর্তন দশা বিদ্যমান সেখানে গ্লুয়নের দুইটি সমবর্তন দশা বিদ্যমান কেননা গেজ স্থিতির জন্য সমবর্তন দশা-কে অনুপ্রস্থ হতে হয়। কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্বে, অবিচ্ছিন্ন গেজ স্থিতির জন্য সেই গেজ বোসন প্রয়োজন হয় যার ভর শূন্য (পরীক্ষালব্ধ সীমায় গ্লুয়নের স্থিতি ভর < টেমপ্লেট:Val)। গ্লুয়নের স্বকীয় ঋনাত্বক সমতা বিদ্যমান।
গ্লুয়নের হিসাব
কিউইডি-এর একক ফোটন যা দুর্বল মিথস্ক্রিয়ার ডব্লিউ ও জেড বোসনের মত না হয়ে, গ্লুয়নের আটটি স্বাধীন রুপ বিদ্যমান।
স্বজ্ঞামূলকভাবে ইহা বোঝা হয়ত কঠিন হতে পারে। কোয়ার্ক তিন ধরনের রং আধান বহন করে; এ্যন্টিকোয়ার্ক তিন ধরনের প্রতিরং (এ্যন্টিকালার) বহন করে। গ্লুয়নকে হয়ত এভাবে ভাবা যেতে পারে যে এরা রং এবং প্রতিরং উভয়ই বহন করে। ইহা গ্লুয়নে মোট নয় ধরনের রং এবং প্রতিরং সমন্বয়ের ধারণা দেয়। নিচে এদের পরিকল্পিত নাম সহ একটি তালিকা দেওয়া হলো:
- রেড-এ্যন্টিরেড (লাল-অপলাল) টেমপ্লেট:Nowrap রেড-এ্যন্টিগ্রীন (লাল-অপসবুজ) টেমপ্লেট:Nowrap রেড-এ্যন্টিব্লু (লাল-অপনীল) টেমপ্লেট:Nowrap
- গ্রীন-এ্যন্টিরেড (সবুজ-অপলাল) টেমপ্লেট:Nowrap গ্রীন-এ্যন্টিগ্রীন (সবুজ-অপসবুজ) টেমপ্লেট:Nowrap গ্রীন-এ্যন্টিব্লু (সবুজ-অপনীল)টেমপ্লেট:Nowrap
- ব্লু-এ্যন্টিরেড (নীল-অপলাল) টেমপ্লেট:Nowrap ব্লু-এ্যন্টিগ্রীন (নীল-অপসবুজ) টেমপ্লেট:Nowrap ব্লু-এ্যন্টিব্লু (নীল-অপনীল) টেমপ্লেট:Nowrap

যদিও এগুলো পর্যবেক্ষীত গ্লুয়নের প্রকৃত দশা নয় কিন্তু অধিকতর কার্যকর। একে সঠিক ভাবে বুঝতে হলে আরো বিস্তারিত ভাবে রং আধানের পেছনের গণিতকে বিবেচনায় আনতে হবে।
সিঙ্গেলেট রং দশা
প্রায়শই বলা হয়ে থাকে যে, প্রকৃতিতে পর্যবেক্ষীত স্থিতিশীল সবল মিথস্ক্রিয়াশীল কণা (যেমন: প্রোটন বা নিউট্রন অর্থাৎ হ্যাড্রন) রংহীন হয়, কিন্তু আরো সঠিকভাবে এরা আসলে একটি "সিঙ্গেলেট রং" দশায় রয়েছে যা গাণিতিকভাবে সিঙ্গেলেট আবর্তন দশার অনুরূপ।[৭] এধরনের দশায় বিভিন্ন সিঙ্গেলেট রংএর মাঝে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া ঘটলেও দীর্ঘ পরিসরে গ্লুয়নের মিথস্ক্রিয়া না ঘটার কারণে ভিন্ন ভিন্ন রং দশা সমন্ন গ্লুয়নের মাঝে কোনো মিথস্ক্রিয়া হয় না যা প্রকাশ করে যে, সিঙ্গেলেট দশায় গ্লুয়ন থাকতে পারে না।[৭]
সিঙ্গেলেট রং দশাটি[৭]:
অন্য ভাষায়, কেউ যদি দশাটির রং নির্ণয় করতে পারে তাহলে তা রেড-এ্যন্টিরেড, গ্রীন-এ্যন্টিগ্রীন ও ব্লু-এ্যন্টিব্লু হওয়ার সম্ভাবনা সমান।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ টেমপ্লেট:ওয়েব উদ্ধৃতি
- ↑ টেমপ্লেট:সাময়িকী উদ্ধৃতি. This is without reference to color, however. For the modern usage see টেমপ্লেট:সাময়িকী উদ্ধৃতি
- ↑ টেমপ্লেট:সাময়িকী উদ্ধৃতি
- ↑ টেমপ্লেট:সাময়িকী উদ্ধৃতি
- ↑ টেমপ্লেট:সাময়িকী উদ্ধৃতি
- ↑ ৬.০ ৬.১ টেমপ্লেট:সাময়িকী উদ্ধৃতি
- ↑ ৭.০ ৭.১ ৭.২ টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
