স্নেলের সূত্র

testwiki থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন

টেমপ্লেট:আরও দেখুন

ভিন্ন প্রতিসরাঙ্কের দুটি মাধ্যমতলে আলোর প্রতিসরণ, যেখানে n2 > n1। যেহেতু দ্বিতীয় মাধ্যমে বেগ কম (v2 < v1), তাই প্রতিসরণ কোণ θ2 আপতন কোণ θ1 এর চেয়ে কম; অর্থাৎ আলোকরশ্মি উচ্চ-প্রতিসরাঙ্কের মাধ্যমে অভিলম্বের কাছাকাছি।

স্নেলের সূত্র (স্নেল–দেকার্তের সূত্র এবং ইবনে সাহলের সূত্র এবং প্রতিসরণের সূত্র নামেও পরিচিত) হচ্ছে একটি সূত্র যা আপতন ও প্রতিসরণ কোণের মধ্যে সম্পর্ক বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়, যখন আলো বা অন্যান্য তরঙ্গ দুটি ভিন্ন আইসোট্রপিক মাধ্যমের যেমন পানি, কাচ বা বায়ু-এর মধ্যে একটি সীমানা অতিক্রম করে। এই সূত্রটির নামকরণ করা হয়েছিল ওলন্দাজ জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণিতবিদ ভিলেব্রোর্ট স্নেলিয়াসের (যাকে স্নেলও বলা হয়) নামে। ইবনে সাহল এ বিষয়ে আগেই ব‍্যাখ‍্যা দিয়ে গেছেন।

আলোকবিজ্ঞানে আপতন বা প্রতিসরণের কোণ পরিমাপ করতে রশ্মি সূত্রটি ব্যবহার করা হয়, এবং পরীক্ষামূলক আলোকবিজ্ঞানে একটি উপাদানের প্রতিসরাঙ্ক খুঁজে বের করতে সূত্রটু ব্যবহৃত হয়। সূত্রটি মেটা-পদার্থেও প্রযোজ্য, যেখানে আলোকে একটি ঋণাত্মক প্রতিসরাঙ্কের সাথে প্রতিসরণের একটি ঋণাত্মক কোণে "পেছন দিকে" বেঁকে যায়।

স্নেলের সূত্র উদ্ধৃত করে যে, প্রদত্ত জোড়া মাধ্যমের জন্য আপতন কোণের (θ1) সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের (θ2) সাইনের অনুপাত দ্বিতীয় মাধ্যম এবং প্রথম মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের অনুপাতের (n21) সমান, যেটি মাধ্যমদ্বয়ের প্রতিসরাঙ্কের (n2/n1) সমান, সমতুল্যভাবে, মাধ্যমদ্বয়ের তরঙ্গ বেগের অনুপাতের (v1/v2) সমান।[]

sinθ1sinθ2=n21=n2n1=v1v2

সূত্রটি ফার্মার লঘিষ্ঠ সময় নীতিকে অনুসরণ করে, যা তরঙ্গ হিসেবে আলোর বিস্তার থেকে আগত।

তথ্যসূত্র

টেমপ্লেট:সূত্র তালিকা

বহিঃসংযোগ